কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধিঃ
আজ ১১ই মার্চ মঙ্গলবার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত কেশপুর ব্লকের, সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ সেমিস্টার এর এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠলো, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত সংসদের ছেলেদের বিরুদ্ধে। যদিও সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের।
সোমবার দুপুরে পঞ্চম সেমিস্টারের মার্কশিট আনতে গিয়েছিল কলেজের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র মিসবাউল ইসলাম, তার অভিযোগ কলেজে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ পিছন থেকে এসে অতর্কিত মারধর শুরু করে কয়েকজন ছাত্র। তার আর অভিযোগ , কলেজের অফিস রুমের মধ্যে ভয়ে ঢুকে পড়লে সেখানে গিয়েও মারধর করে, কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউ ছাড়াতে আসেননি। ছাত্রটি জানায় যেখানে মারধর করা হয় সেখানে ক্যামেরা ছিল। সেই সঙ্গে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্র, তিনি বলেন প্রতিদিন প্রিন্সিপালের নাকের ডগায় ইউনিয়নের ছেলেরা লাঠি সোটা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, প্রিন্সিপাল নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে, মার খেয়ে বেশ কিছুক্ষণ কলেজের দুয়ারের সামনে পড়ে থাকলেও হসপিটালে ভর্তি করতেও নিয়ে যায়নি কেউ।
পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে কলেজে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে , ছাত্রটি বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কথা শুনে অভিযোগ নেয়নি। এমনকি যেই ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তাকেও তারা ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে বলে জানায় আহত ঐ ছাত্র। তবে কলেজের অধ্যক্ষ দীপক কুমার ভূঁইয়া জানান , ঘটনার দিন তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেন না, তবে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার পর অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
সোমবার কলেজে মারধরের ঘটনা নিয়ে বলেন ,এটি কোন রাজনৈতিক দলের মধ্যে নয়, ছেলেটি ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে ঢুকে একটি মহিলার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করছিল, তখন ওই ডিপার্টমেন্টের একটি ছেলে যে ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তবে কলেজের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়, কিন্তু ক্যামেরার বিষয়ে প্রশ্ন করলে অধ্যক্ষ জানান, ঘটনার দিন ক্যামেরা বন্ধ ছিল, মাঝেমধ্যে ক্যামেরা বন্ধ রাখতে হয় না হলে বাজ পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ক্যামেরা যদি বন্ধই থাকবে, তাহলে প্রশ্ন উঠেছে ক্যামেরা রাখার প্রয়োজন কি।
পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে আহত ছাত্র, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেশপুর ব্লক সভাপতি শেখ ইনজামুল হক বলেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, এই মারধরের সঙ্গে ইউনিয়নের কোন যোগাযোগ নেই , ওই ছাত্র আমাদের ইউনিয়নের নামে বদনাম করার জন্য এসব কথা বলছেন।
কেশপুর হাসপাতালে চিকিৎসার পর , তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠায় মাথায় সিটি স্ক্যান করার জন্য , মাথায় ছটি সেলাই করা হয়েছে, বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছে ছাত্রটি , পরিবারের লোকজন যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে, ছেলেকে কলেজে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন তারা, বারবার কেশপুর কলেজে মারধরের ঘটনায় আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রীরা , প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ,
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, পশ্চিমবঙ্গ
0 $type={blogger}:
Post a Comment