রোকনুজ্জামান সবুজঃ
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল ত্রিপুরা,প্রাক্তন উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান, জামালপুর সদর ও প্রাক্তন উপজেলা প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজসক্রমে ক্ষমতার অপব্যবহার জাল জালিয়াতি ও দূর্নীতি মুলক ভাবে জামালপুর কালচারাল ভিলেজ নির্মাণ প্রজেক্ট এ টেন্ডার ছাড়াই কাজ বাস্তবায়ন দেখিয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান উক্ত ভূয়া জল- জালিয়াতিপূর্ণ কাগজে প্রস্তুতকৃত বিল নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর উপস্থান করলে নির্বাহী প্রকৌশলী উক্ত বিল অনুমোদন করেন। উত্তোলিত টাকা উক্ত তিন প্রকৌশলী ভাগবাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেন।
জানা যায়, উজ্জ্বল ত্রিপুরা নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে এবং তৌহিদুর রহমান সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে যোগদান করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ প্রকৌশলী এস.এম শহীদুল ইসলাম এখন সক্রিয় হয়ে ৩ জন সারাদিন উন্নয়ন মূলক কাজ তদারকী না করে নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে বসে কিভাবে দুর্নীতি করে টাকা আহরোন করা যায় তার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং উক্ত অফিসেই তিন জনে মিলে খাওয়া দাওয়ায় মত্ত থাকেন, ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম একেবারে ভেঙে পড়েছে। সাধারণ জনগণ সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
৫ আগস্টের পর দলীয় সরকার না থাকায় উর্দ্ধতন উক্ত ৩ প্রকৌশলী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টেন্ডার এর মাধ্যমে কাজ দিয়ে দিবে বলে টাকা নেওয়া,লটারীর মাধ্যমে কাজ পেলে ঠিকাদারকে চুক্তি মূল্যের উপর % করে টাকা দিয়ে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়।
ঠিকাদারকে বিল দিলে বিলের উপর % করে দিতে হয়। সবকিছুর দায়ীত্বে সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান। প্রভাতী প্রকল্পের পিআইসি মাধ্যমে বাস্তবায়িত সকল বাজার গুলি কোটি কোটি টাকা উন্নয়ন বাস্তবায়ন না করে এস.এম শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী নিজেই রাজ মিস্ত্রি দিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করে থাকে।
এস.এস ডাব্লিউ জাইকা কাজ গুলি পিআইসির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হলেও সিংহভাগ অর্থাৎ ১০% টাকা দিয়ে বিল নিতে হয়। জামালপুর সাংস্কৃতি পল্লী কাজটি টেন্ডারের মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদার ছিলেন টিসিএল- টিইএল-এমএম (বাঁশি),পরবর্তীতে টেন্ডার বিহীন ভাবে প্রায় ৮টি প্রকল্প ইঞ্জিন টেকনোলজি নামে একটি ফার্মের সংগে চুক্তি করে ১টির পর ১টি কাজ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এরি ধারাবাহিকতায় গত জুন মাসে উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান বর্তমানে সহকারী প্রকৌশলী কাজ ছাড়া প্রায় ১৩ কোটি টাকা বিল প্রস্তুত ও প্রদান করেন। কালচারাল ভিলেজ নির্মাণ প্রজেক্ট এ মোট ব্যয় দেখানো হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
সর্বমোট ব্যয় ১০৪+১১৫ = ২১৯ কোটি টাকা। কাজেই জনগণের দাবি এ মাফিয়া ডন (সিন্ডিকেট) ভেঙ্গে দিতে হবে। তৌহিদুর রহমান শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পে ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকা জুন/২৪ মাসে উত্তোলন করে নিজেই আত্মসাৎ করেন।
পরবর্তীতে তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় জামালপুরে বদলি করেন। বর্তমানে তিনি উক্ত কার্যালয়ে সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত আছেন।
জামালপুরে শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লীর বরাদ্দ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী কোটি কোটি টাকা ভূয়া বিল ভাউচার করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালে টিসিএল অর্থাৎ ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী ১০৪ কোটি টাকা মূল ভবনের কাজ পেয়ে সম্পূর্ণ করেছে।
অফিস মূত্র জানা গেছে,২০১৯ সাল থেকে বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট টাকা ২১৯ কোটি ৮২ টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লীর জন্য ১১৫ কোটি ৮২ লক্ষ টাকার কাজ কোথায় বা কি হয়েছে তা সুধীমহলের প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তামিম বিন হসান বললে, ১১৫ কোটি ৮২ লক্ষ টাকার কাজের টেন্ডার বা কিভাবে বিল করা হচ্ছে তা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ত্রিপুরা ও সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান জানেন।
আমি ২০২৪ সালের জুলার ৪ তারিখে জামালপুর এলজিইডিতে উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেছি।আমি আসার পরে কোন বিল হয়নি।
0 $type={blogger}:
Post a Comment