সাংবাদিক আজিজ চৌধুরী ভাইয়ের পেশাগত আদর্শে অনুপ্রাণিত আমি

জামালপুর দর্পণঃ

 

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে ১৯৮৬ সনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠা ছাত্রদলের আন্দোলন কর্মসুচীর অসংখ্য মিছিল মিটিং ও সমাবেশে শরিক হবার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি আমান উল্লাহ আমান ভাইয়ের নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার হটানোর আন্দোলন বেগবান করতে সারা দেশে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ গঠিত হয়েছিল।

 

 

ওই সময় ইসলামপুর উপজেলা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের একজন ছাত্র নেতা ছিলাম আমি। তখন স্বৈরাচারের সকল জুলুম নির্যাতন উপেক্ষা করে আমান উল্লাহ আমান ভাইয়ের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের রাজনীতিতে শতভাগ সক্রিয় থাকাবস্থায় স্বৈরাচার এরশাদ সরকারকে খেদানো সম্ভব হয়েছে। এরপর প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে সরকার গঠিত হওয়ার পর এক জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে আমি ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম।

 

 

তখন থেকে দীর্ঘদিন ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। ছাত্রদলের রাজনীতি শেষে ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক এবং ইসলামপুরের সাপধরী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। পরবর্তীতে সাপধরী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘদিন দক্ষতার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।

 

 

এছাড়াও সাপধরী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি থাকা কালে ২০১৭ সালে বিএনপির সুযোগ্য মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহোদয়ের স্বাক্ষরিত মনোনয়ন পত্রের সুবাদে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ওই সময় আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের জুলুম নির্যাতন,প্রহসন ও ভোটে ব্যাপক কারচুপির কারণে ইউপি চেয়ারম্যান পদের নিশ্চিত বিজয় থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

 

 

আমার সুদীর্ঘ  জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি আমি ২০০১ সন থেকে সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত হই। আমি সাংবাদিকতার শুরুতে জামালপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের জামালপুর, দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিন, সাপ্তাহিক কালাকাল, দৈনিক সচেতন কন্ঠ ও দৈনিক পল্লীর আলো পত্রিকায় ইসলামপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে লেখালেখি শুরু করি। সেই সময় আমার সাংবাদিকতা পেশার ওস্তাদ ও আমার ঘনিষ্ট বন্ধু বিশিষ্ট সাংবাদিক আনোয়ার মিন্টুর সহায়তায় সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতেই ইসলামপুর প্রেসক্লাবের সদস্য পদ লাভ করি এবং ওই বছরই আমি ইসলামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হই।

 

 

এরপর জামালপুরের বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রয়াত শেলু আকন্দের সহায়তায় প্রথমে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার ইসলামপুর উপজেলা প্রতিনিধি এবং পরবর্তীতে দৈনিক সংবাদ এর ইসলামপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার সুযোগ পাই। ওই দুটি জাতীয় পত্রিকায় প্রায় পাঁচ বছর কাজ করার পর আমি দৈনিক সংবাদ এর জামালপুর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ পাই। তখন থেকে শুরু হয় জামালপুর জেলা শহরে অবস্থান করে সারা জেলার সাংবাদিকতায় নিজেকে সম্পৃক্ত করাসহ জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্য পদ লাভের সৌভাগ্যবান হই।

 

 

এরপর দৈনিক সংবাদের পাশাপাশি দৈনিক কালেরকন্ঠ পত্রিকার জামালপুর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘদিন সততা ও দক্ষতার সাথে লেখালেখি করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হই। ২০১৬ সনে আমি সিটিজেন জার্নালিজম ক্যাটাগরিতে জনবান্ধব রিপোর্টার হিসাবে প্রথমে জেলার শ্রেষ্ঠত্ত্ব সনদ এবং একই বছর সেরা জনবান্ধব রিপোর্টার হিসাবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্ব সনদ লাভের গৌরব অর্জন করি।

 

 

আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে জামালপুর জেলার বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, উকিল, ডাক্তার,  সমাজ সেবক ও বিভিন্ন স্তরের সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে চলাফেরায় বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়েছি।

 

 

যাহোক আমার দীর্ঘদিনের জানাশুনার মধ্যে ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনেক নেতাকেই দেখেছি,  তাদের বক্তব্য শুনেছি এবং তাদের চলাফেরা ও নীতি আদ্বর্শ সমন্ধে জানাশুনা এবং তাদের সাথে আমার অসংখ্য বার কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে।  বিশেষ করে ইসলামপুরের তুখোর বিএনপি নেতাদের মধ্যে  প্রয়াত একেএম শফিউল আলম খাজা মিয়া, প্রয়াত মজিবর রহমান দুদু, সাবেক এমপি বেগম রহিমা খন্দকার, সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবু এবং সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব এএসএম আব্দুল হালিম মহোদয় গনের সাথে চলাফেরা ও অসংখ্য বার কথা বলার সৌভাগ্যও হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্যই অসংখ্য বার শুনেছি এবং তাদের কাছে অনেক কিছুই শিখেছি। তাদের প্রত্যেকের নীতি আদ্বর্শ থেকে সর্বোৎকৃষ্ট বিষয়গুলো  বুকে ধারণ করার চেষ্টাও করেছি।

 

 

সম্প্রতি যে নেতার বক্তব্য  ঘনঘন শুনে অভিভুত হচ্ছি এবং যার নীতি আদ্বর্শ, সততা, ন্যায় নিষ্ঠতা, মানবতা  বোধ ও নিজ জন্মভুমিসহ সারা ইসলামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করে ইসলামপুরকে মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যিনি সুদুর প্রসারী চিন্তা ধারায় নিজেকে প্রস্ফুটিত করে চলেছেন তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক কেবিনেট সচিব ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি  এএসএম আব্দুল হালিম। তিনি যেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদ্বর্শে শতভাগ অনুপ্রানীত।  তাঁর চলাফেরা, কথাবার্তা, নীতি আদ্বর্শ ও মানবতাবোধ আমাদের সকলেরই অনুকরণ যোগ্য। আমি তাহার সুস্থ সবল দীর্ঘ জীবন ও মঙ্গল  কামনা করছি।।

আজিজুর রহমান চৌধুরী

ইসলামপুর, জামালপুর।

Share on Google Plus

About মোঃ সাইদুর রহমান সাদী

নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন; মোবাইল : 01901450501 - সংবাদ/বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - iamsadi49@gmail.com

0 $type={blogger}:

Post a Comment