কলকাতা প্রতিনিধিঃ
আজ ১১ ই ডিসেম্বর বুধবার, ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারী চাকরি প্রার্থীরা ১১ বছরের জ্বালা যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে, এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চাইতে, ঠিক বেলা ১১ টায় রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হন, এবং বারোটা পাঁচে জাতীয় ও সমবেত সংগীতের মধ্য দিয়ে এই মহা মিছিলের যাত্রা শুরু করেন এবং নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে পায়ে পা মেলান, প্রায় কয়েকশ চাকুরী প্রার্থী এই মিছিলে পা মিলিয়ে ছিলেন।
মিছিল রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু করে, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড ধরে, এস এন ব্যানার্জি রোড, ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং হয়ে তারা ওয়াই চ্যানেলে উপস্থিত হন, ধর্মতলা চত্বরে অনেক আগে থেকেই প্রশাসনের লোকেরা ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন, যাতে কোন রকম গন্ডগোল না হয়, এবং ব্যারিকেড এর মধ্য দিয়ে চাকুরি প্রার্থীদের ওয়াই চ্যানেলে প্রবেশ করান।
মিছিলের প্রথম ভাগে ছিল মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি, তাহার পর চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন দাবির পোস্টার হাতে নিয়ে, স্লোগান দিতে দিতে ওয়াই চ্যানেলে পৌঁছান, সেখান থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল নবান্নর উদ্দেশ্যে ডেপুটেশন দিতে যান।
মিছিলে প্রথম ভাগে উপস্থিত ছিলেন, মহিবুল্লাহ মোল্লা, সোমা কয়াল, মালিক মিয়া, সীতা মন্ডল ,মুজাফফর আহমেদ, জয়দীপ মুখার্জী ,শ্রেয়ানী মুখার্জি ,অপর্ণা রায় ,স্বদেশ গোস্বামী, আজহার শেখ সহ অন্যান্যরা।
মিছিল ধর্মতলা ডড়িনা ক্রসিং এ পৌঁছালে, চাকুরি প্রার্থীরা কিছুক্ষণ বসে পড়েন পোস্টার হাতে নিয়ে এবং স্লোগান দিতে থাকেন, অবিলম্বে প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি দিতে হবে, উপযুক্ত চাকরি প্রার্থীদের চাকুরী দিতে হবে।, এরপর হামাগুড়ি দিয়ে মিছিলের আগে আগে ওয়াই চ্যানেলে পৌঁছান।
তাহারা বলেন আপনার স্বঘোষিত ১০ লক্ষ শূন্য পদের মধ্যে, আপার প্রাইমারীতে কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার সিট রয়েছে, সেইগুলিকে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করে, দ্বিতীয় ইন্টারভিউ নিয়ে অবিলম্বে নিয়োগের ব্যবস্থা করুন।,
দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আমরা যন্ত্রণায় ভুগছি, এই যন্ত্রণার অবসান চাই, ৯০০দিন কেটে গিয়েছে ধর্ণান, একটা একটা দিন করে আমাদের বয়স বেড়ে চলেছে, তবুও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এখনো ফিরে তাকাননি, আমরা এখনো আশাবাদী, নিশ্চয়ই আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন এবং ইন্টারভিউ বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগ দেবেন। তাই পুনরায় আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে আমরা ডেপুটেশন দিচ্ছি,
তারাও বলেন ২০১৪ সালে পরীক্ষার পর প্রাইমারী একাধিক বার নিয়োগ হয়েছে এবং পরীক্ষার সুযোগ পেলেও আপার প্রাইমারী অন্ধকারে রয়েছে। এই অন্ধকারের অবসান চাই, ১০ লক্ষ চাকরির মধ্য থেকে উচ্চ প্রাথমিক টেস্ট পাশ ট্রেন্ড যারা পড়ে আছে ,তাদের দ্রুত ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।
আমরা এবার স্কুলে যেতে চাই, চাকরি করতে চাই, বাবা মায়ের পাশে থাকতে চাই, জ্বালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাই, বাবা-মা বহু কষ্ট করে আমাদের পড়াশুনা করিয়েছেন, অনেকের বাবা মা পড়াশোনা করাতে গিয়ে দেনাই ডুবে আছেন। তাই বাবা মায়ের পাশে থেকে সাহায্য করতে চাই, আমরা আমরার কাছে আবারো একই দাবি করছি, আর নয়, আমাদের মুক্তি দিন, আমাদের পাশে দাঁড়ান, টাকার বিনিময়ে চাকরি নয় ,উপযুক্ত চাকরি প্রার্থীদের চাকরি দিন।
0 $type={blogger}:
Post a Comment