রোকনুজ্জামান সবুজঃ
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আব্দুল গফুর খানের বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করছেন বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা। এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষকরা।
গত রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন নিতে গেলে কিছু শিক্ষক অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এসময় সাংবাদিকদের কাছে নানান অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে অভিযোগও করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী বন্ধু ডিবির প্রধান হারুনের সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকায় সব সময় শিক্ষকদের সাথে অসাদাচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতা করেন। এ বছরের জুন মাস থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররের দায়িত্ব পালনের সময়ে ‘স্লিপ’ এর বরাদ্দ থেকে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে এক হাজার পাঁচ শত থেকে দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নিত।
ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দের বিল থেকেও ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এছাড়াও এবতেদায়ী মাদ্রাসার তথ্য আপডেট করে দিয়ে অবৈধভাবে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। গত ২৭ তারিখে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর খানের নামে ৭ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
সহকারী শিক্ষক সৈয়দ মাসুদুর রহমান বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ডিবি প্রধান হারুন তার বন্ধু, সেই পরিচয়ে তিনি প্রভাব দেখিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করে আতংকে রাখতেন। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা ৩ বছরের অধিক কোন জায়গায় চাকুরি করার নিয়ম নেই। কিন্তু প্রভাবশালী ওই শিক্ষা অফিসার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একই কর্মস্থলে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন।
শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ করে থাকেন। পরীক্ষার প্রশ্ন নেওয়ার সময় টাকা দিলেও কোন রিসিভ দেওয়া হয় না। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন কাজে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আব্দুল গফুর খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করছেন তা মিথ্যা। হঠাৎ আমার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষক যেসব অভিযোগ করেছে তা সম্পন্ন মনগড়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, প্রাাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর খানের নামে অভিযোগ দিয়েছেন বলে শুনেছি। আমার কাছে এখনও অভিযোগ পত্র আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 $type={blogger}:
Post a Comment