বকশীগঞ্জে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে ধানুয়া গ্রামের আলহাজ্ব আবু যাইদ অপুর বিরুদ্ধে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ কেলেঙ্কারি ও মালিকানা জমির উপর মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন দুই ব্যক্তি বাবুল মিয়া ও কামরুজ্জামান মানিক মিয়া। তারা উভয়েই বাদী হয়ে ২১ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বরাবর পৃথক দুটি বিষয়ের উপর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

জানা যায়, অর্থ লোভী আবু যাইদ অপু ২০১৭ ইং সাল থেকে ২০২৩ ইং সাল পর্যন্ত ৬ বৎসর টানা দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ধানুয়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদ,ধানুয়া মদিনাতুল উলুম নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা,ধানুয়া কবরস্থান ও ধানুয়া ঈদ গা মাঠসহ একাই চারটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

 

সভাপতির দায়িত্ব পালন কালে এসব প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ সংগ্রহ করে কমিটির বাকি সদস্যদের সাথে পরামর্শ না করেই নিজের ইচ্ছায় মনগড়া খেয়াল খুশিমত মসজিদ মাদ্রাসার নির্মাণ কাজের মালামাল দোকানের বিল ভাউচার ছাড়াই ক্রয় করতেন। তার এসব একক সিদ্ধান্তে নানা ধরনের দূর্নীতি অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন বাবুল মিয়া সহ এলাকার সাধারণ মুসুল্লি।

 

আবু যাইদ অপু সমাজে সুদের ব্যবসা থেকে শুরু করে তিনি মসজিদে দায়িত্ব থাকা অবস্থায় কোন ইমাম তার অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তার সমর্থিত বাহিনী সাথে নিয়ে মসজিদের ইমামকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চাকরিচ্যুত করতেন। অজস্র অনিয়ম দুর্নীতি করা সত্ত্বেও পুনরায় সভাপতিরপদ হাসিল করার জন্য তার সমর্থিত কিছু লোক নিয়ে বার বার কমিটি করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এ নিয়ে মুসিল্লি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 

তিনি মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ কালে কমিটিদের সাথে পরামর্শ ছাড়াই সভা রেজুলেশন ভাউচার ইত্যাদি না করে নিজের মনগড়া ভাবে কমিটিতে থাকা বাকি সদস্যদের বাদ দিয়ে মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ করেন এবং মসজিদের নির্ধারিত ৬ শতাংশ জায়গা মাপ যোগ না করেই মসজিদের কিছু জায়গা ছেড়ে দিয়ে জমির মালিক কামরুজ্জামান মানিক এর কিছু অংশ জমির উপর মসজিদ নির্মাণ কাজ করেন। আবু যাইদ অপু নিজের আধিপত্য বিস্তার ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে এলাকার কতিপয় কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোকজন ম্যানেজ করে সেন্ডিকেট তৈরি করে এসব অপকর্ম করতেন।

 

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টাকা নয় ছয় করে আত্মসাৎ করলে মুসুল্লিদের তোপের মুখে পরেন। তিনি ২০২৩ ইং সালে সভাপতি থেকে অব্যাহতি নিলেও তার কাছে মসজিদের জমানো প্রায় ৮,০০০০০ টাকা রয়েছে সেই টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বর্তমান বাইতুল মামুর জামে মসজিদের অস্থায়ী পরিচালনা কমিটি একাউন্টে টাকা জমা দিতে বার বার তাগিদ দিলেও তাদের কথা তোয়াক্কা না করে টাকা আত্মসাতের জন্য চলে নানা ধরনের টালবাহানা।

 

এতে করে মসজিদের মুসল্লিসহ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার সাধারণ মানুষ। মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে ও সামাজিক শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

Share on Google Plus

About মোঃ সাইদুর রহমান সাদী

নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন; মোবাইল : 01901450501 - সংবাদ/বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - iamsadi49@gmail.com

0 $type={blogger}:

Post a Comment