মোহাম্মদ আলীঃ
যারা অভিযোগকারী তারাই বিচারক। স্বাক্ষ্য প্রমাণের বালাই নাই, সত্য মিথ্যার যাচাই নাই। শাস্তির ধরণ মন যা চাহে!
বিভিষিকাময় একটি দীর্ঘ আধার কালো রাত্রী থেকে জাতিকে মুক্ত করে একটি শান্তি সুখের নতুন ভোর উপর দিতে, স্বজাতির বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে শত সম্ভাবনায় ছাত্রজনতা। তাদের অপূরণীয় প্রাণের আত্মাহুতি মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এলো তা যেনো শুধু পোষাকি। কাজগুলো যেন আগের মতোই আছে! কোনো কোনো ক্ষেত্রে পূর্বের সেচ্ছাচারিতাকেও হার মানাচ্ছে!
এখনও হিংসার দহণে পুড়ছে জনগণের বসতবাড়ি, মিল কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাদ যাচ্ছে না মৃতের কবর! প্রতিহিংসাবশতঃ শুধুমাত্র ভীন্নমত ও পথ অনুসরণ করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হচ্ছে নির্দোষ নিরাপরাধকে। দখল অপদখল থেকে বাদ যাচ্ছে না বাজার হাট ঘাট স্ট্যাণ্ড টার্মিনাল বিক্রিত বা ক্রয়কৃত সম্পত্তি। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে পদ পদবী।
শুধু চুরির অভিযোগে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। জুতার মালা পড়িয়ে টেনে হিঁচড়ে নামানো হচ্ছে শিক্ষককে। উলঙ্গ করে ছবি তুলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ওঠবস করানো হচ্ছে বাবার বয়সীকে। আইন ও নিয়মের প্রতি যেন কারও তোয়াক্কা নেই। দেশটা যেন এক উন্মুক্ত আদালত আর মানুষগুলো সব বিচারক।
এতোগুলো প্রাণ এতো রক্তের বিনিময়ে এই বুঝি আমাদের প্রাপ্তি? মন্দের জবাব যদি মন্দ দিয়েই হয় তাহলে ভালোর কি দরকার? আইন যদি আমরা নিজের হাতেই তুলে নিই তাহলে আইনের সুফল পাব কিভাবে?
0 $type={blogger}:
Post a Comment