রোকনুজ্জামান সবুজঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরই সারাদেশে হামলা করা হয়েছে আ’লীগের কর্মীদের অফিস, বাড়ি, দোকানগুলোতে। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে আ’লীগের দলীয় কার্যালয়সহ নেতাকর্মী বসতবাড়ি ভাংচুর-দখল ও কোথাও কোথাও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা আসবাবপত্র লুটপাট হামলাও করা হয়েছে।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত সোমবার (৫আগষ্ট) বিকালে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতারচর বাজারে আ’লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাংচুর, আ’লীগের রাজনীতিতে জড়িত কয়েক জনের নেতাকর্মীর বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা আসবাবপত্র লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।
এলাকাবাসী জানান, হামলাকারীরা গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছানোয়ার হোসেন ও কৃষক শামীমের বাড়িতে হামলা- ভাংচুর চালিয়ে আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গাইবান্ধা ইউনিয়নের আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ান হোসেনের বসতবাড়ি ভাংচুর, কৃষক লীগের সভাপতি সাবেক মেম্বার মোফাজ্জলের বাড়ি, পোড়ারচর বাজারে জহুরুল হক ময়নার স্বর্ণকার দোকান ভাংচুর করে গুড়িয়ে দিয়েছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নাপিতাচর সরকার বাড়ি মোফাজ্জল হকের বসতবাড়িতে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হামলাকারীরা। টুংরাপাড়া ব্রিজের সংলগ্ন সেকান্দর ও রাজ্জাকের দুইটি দোকানে আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বাবা মুনু মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে আ’লীগের রাজনীতি করে–এটাই আমার অপরাধ। পুরো বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট করা হয়েছে। বাড়িতে থাকার মতো পরিবেশ নেই। চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে খাবার প্লেট পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই।’
0 $type={blogger}:
Post a Comment