শেরপুর প্রতিনিধিঃ
ঈদ মানেই আনন্দ, আনন্দ উল্লাস সকল কিছুই যেনো
হার মেনেছে বৃদ্ধা রবিরনের(৭০) এর কাছে।যে সময়ে ঈদকে সামনে রেখে প্রতিটি গ্রাম ও মহল্লায় ঈদের আনন্দের আগাম জানান দিচ্ছিলো সেই মূহুর্তেই অনাহারে থেকে জীবন বাঁচার তাগিদে এক মুঠো ভাতের আশায় রাস্তায় শুয়ে সাহায্যের জন্য আকুতি মিনতি করছিলো অসুস্থ বয়বৃদ্ধা রবিরন বেগম(৭০)।
এই ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ৬ নং পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে। এলাকাবাসী’র সূত্রে জানা যায়, চকপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসীন্দা মৃত. কমল উদ্দীনের স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তান রেখে মৃত্যু বরণ করেন কমল উদ্দিন। সাম্প্রতিককালে একমাত্র মেয়েটিও মৃত্যু বরণ করলে পুরো সংসারের আর কেউ না থাকায় একাই অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে আসা অবস্হায় মৃত. মেয়ের ঘরের একমাত্র একটি ছেলে সন্তান মোঃ কাকন মিয়া(৩০) ঢাকায় একটি গার্মেন্টসের কর্মী হিসেবে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকাতেই বসবাস করতো।
নানীর রবিরন বেগমের এমন পরিস্থিতির খবরের কারনে তার নাতি কাকন স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকা থেকে শেরপুর জেলার তার নিজ এলাকায় চলে আসেন। এসে দেখেন তার নানী
প্যারালাইসিস্ রোগে আক্রান্ত হয়ে না খেয়ে ঘরে একাকাই পড়ে আছেন। কিন্তু একমাত্র নাতি কাকন মিয়া কোনো উপায় না দেখে একটি ভাড়ায় চালিত রিক্সা নিয়ে তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও নানীকে নিয়ে ভাংগাচোরা একটি ঘরের মধ্য গাদাগাদি করে অতি কষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে বসবাস করে আসছিলো।
কিন্তু আর্থিক সংকটের কারনে নানীর সুচিকিৎসা করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত নানীকে বাঁচানোর জন্য গতকাল ৩ মার্চ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানীকে রাস্তায় শুয়ে রেখে
সাহায্যের হাত বাড়ান তার একমাত্র নাতি কাকন মিয়া। অনেকেই ৫, ১০ টাকা করে দিলেও ওই সময়ে ওই ইউনিয়নের কোনো ধনাঢ্য ব্যক্তি ও কোনো জন প্রতিনিধির সারা মেলেনি।
এসময় স্থানীয় এক মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, মানবিক কারনে মৃত্যুর সন্নিকটে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা দরকার মনে করেন তিনি।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন,সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন রেখে একটি বিকাশ নাম্বার দেন তিনি। যার নাম্বার- 01996589982, সে সকলের প্রতি আর্থিক সহযোগিতার জন্য বিনিত অনুরোধ জানিয়েছেন।
0 $type={blogger}:
Post a Comment