জামালপুর দর্পণঃ
জামালপুরের বকশিগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার রক্ত শুকাতে না শুকাতেই ফের সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাংবাদিক মতিন রহমানকে (৪০) মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা।
পৌর নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তিনি হামলার শিকার হন।
আহত মতিন দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বকশিগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে কামরুজ্জামান সুজন (ব্ল্যাকবোর্ড) কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরাজিত প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের (উটপাখি) সাথে বিজয়ী প্রার্থীর লোকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার নামাপাড়া এলাকায় উভয়পক্ষে লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় বড়বাড়ি গ্রামের আবিরুজ্জামান আক্কাস মাস্টারের ছেলে তৌহিদুজ্জামান তৌহিদের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষদের বাড়িঘরে হামলা করা হয়। এসময় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে যান।
সাংবাদিক মতিন রহমান অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের ব্যাপারে কাউন্সিলর কামরুজ্জামান সুজনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে যান। এ সময় উত্তেজিত হয়ে তৌহিদের নেতৃত্বে কাউন্সিলর সুজনের সমর্থিত ২০-২৫ জন লোক তার ওপর চামলা এবং মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা তার ক্যামেরা,মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
খবর পেয়ে সহকর্মী সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। এ ব্যাপারে রাতেই থানা লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে বকশিগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম প্রাণ হারিয়েছেন। একাধিক সাংবাদিকই হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। প্রশাসনের দূর্বলতার সুযোগে একের পর এক সংবাদকর্মী নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন বলে সাংবাদিকরা জানান।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর কামরুজ্জামান সুজন বলেন, আমরা একটা বিষয় নিয়ে বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলাম, এ সময় সাংবাদিক মতিন সেখানে ভিডিও করছিল। তাকে মানা করা হলে বিষয়টি নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। তবে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
বকশিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ মুঠোফোনে বলেন, একজন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি, প্রকৃত ঘটনা এখনও জানি না।
0 $type={blogger}:
Post a Comment