মোহাম্মদ আলমাছ হোসেন আওয়ালঃ
ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশেও তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মিষ্টি মরিচের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে তবে সাধারণ ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। মিষ্টি মরিচ দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও ইদানিং এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে।
বড় বড় শহরের আশেপাশে সীমিত পরিসরে কৃষকরা এর চাষ করে থাকেন যা অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হয়ে থাকে।
এছাড়াও মিষ্টি মরিচের বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনাও প্রচুর, কারণ সারা বিশ্বে টমেটোর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হচ্ছে মিষ্টি মরিচ। পুষ্টি মনের দিক থেকে মিষ্টি মরিচ অত্যন্ত একটি মূল্যবান সবজি বলে পুষ্টিবিদরা জানান। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন’ ‘সি’ থাকার কারণে এবং অতি সহজেই টবে চাষ করা যায় বলে দেশের জনসাধারণকে মিষ্টি মরিচ চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনার পশ্চিমে দুর্গম চরাঞ্চল ৪ নং সাপধরী ইউনিয়নের চেঙ্গানিয়া গ্রামের অতি দরিদ্র কৃষক আবু সাঈদ জানান যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে আমার সহায় সম্বল সব নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এখন আমি নানার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। নিজের বলতে আমার আর কিছুই নেই, আমি দুঃসম্পর্কের এক মামার কিছু আবাদি জমি ধানের বিনিময়ে লিজ(ভাড়া)নিয়ে আমার হাই স্কুল পড়ুয়া এক ছেলের মাধ্যমে ইউটিউব দেখে আধুনিক পদ্ধতিতে ৪০ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম(মিষ্টিমরিচ)চাষ করেছি এটি পরিপক্ক হওয়ার পর ধারণা করছি এক একটি মরিচের ওজন হবে প্রায় এক কেজির মত যা বাজারে বিক্রি করে আমার পরিবারের অভাব অনটন খুঁজবে বলে আল্লাহর নিকট আশাবাদী।
এছাড়াও এর পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের আধুনিকায়ন পদ্ধতিতে কিছু জমিতে নাগাফায়ার মরিচ,টমেটো স্মার্ট ১২১৭, নাপসান ফুলকপি ও কিছু জমিতে বিগবস বেগুনের চাষ করেছি।
সরেজমিনে গিয়ে ওই কৃষককে জিজ্ঞেস করলে তিনি আরো বলেন আমি কোন সংস্থা থেকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পাইনি, মানুষের কাছ থেকে সুদের উপর টাকা ঋণ করে অতি কষ্টে ছোট্ট আকারে এই প্রজেক্টটি সাজিয়েছি।
আমি আশা করছি সরকার যদি এই ক্যাপসিকাম ও অন্যান্য সবজি উৎপাদনে আপনাদের মাধ্যমে সরকারি কোন আর্থিক সহযোগিতা পাই তাহলে আমাদের এই প্রজেক্টটি আরো অর্থবহ করা যাবে,তাতে এলাকার অনেক বেকার যুবক উৎসাহিত হবে বলে ধারণা করছি।
এদিকে ওই গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু কৃষক আবু সাঈদকে সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফেকু মিয়া জানান কৃষক আবু সাঈদ যে কৃষি প্রজেক্টটি করেছে আমি দেখেছি এতে সরকার যদি সহযোগিতা করে আরো ভালো কিছু আশা করা যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এল এম রেজুওয়ান জানান চেঙ্গানিয়ার ওই কৃষক আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
0 $type={blogger}:
Post a Comment