মোহাম্মদ আলমাছ হোসেন আওয়ালঃ
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। তার ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় এই উন্নয়নে পিছিয়ে পরা ইসলামপুর আজ আধুনিক ইসলামপুরে রুপান্তরিত হয়েছে।
সারা জীবনের দূর্ভোগ পোহানো চরাঞ্চলের আনাচে কানাচে প্রতিটি সড়ক পাকাকরণ হওয়ায় চরাঞ্চল পূর্বাঞ্চলে পরিনত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম আজ গঞ্জের রুপ নিয়েছে।
তিনি শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি নির্মান, মডেল মসজিদ নির্মান, ইসলামপুর ডিগ্রী কলেজ সরকারী করণ, নেকজাহার মডেল স্কুল সরকারী করণ,জে জে কে এম গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ সরকারী করণসহ ২০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০ মিটার দৈর্ঘের দুটি শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ সেতু ও শহীদ লে. শেখ জামাল সেতু, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী ভাঙ্গনরোধে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাঁশ পাইলিং নির্মাণ, প্রায় ১শত কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম সম্পাদন, প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদী ভাঙ্গনরোধে সিসি ব্লক পাইলিং করণ, প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার পাথর্শী, কুলকান্দি, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন ৫শত আসন বিশিষ্ট ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটরিয়াম নির্মান।
এছাড়াও প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুবিধা বিশিষ্ট জেলা পরিষদ ডাকবাংলো নির্মান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩৩ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণ, আইসিও সুবিধা সম্বলিত এম্বুলেন্স প্রদান, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মোবাইল ভেটেরিনারী ক্লিনিক এম্বুলেন্স প্রদান, কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে যমুনা দূর্গম চরাঞ্চলে সোলার সেচ পাম্প স্থাপন, গুঠাইল ও ডিগ্রীর চর পুলিশ ফাড়িঁ স্থাপন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন, মুক্তিযোদ্ধা ভবন স্থাপন, উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপন, ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্ল্যাটফম বর্ধিত করণ ও যাত্রী ছাউনি নির্মান, গ্রামীন সড়ক নির্মান, কালভার্ট নির্মান, পাকা সড়ক, হেরিংবন্ড নির্মান, উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, যমুনার দূর্গম চরাঞ্চলে নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুতায়ন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান, উচ্চ বিদ্যালয় ভবন,মাদরাসা ভবন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে এম্বলেন্স সংযোজন, প্রায় ১০কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সাপধরী উচ্চ বিদ্যালয় ও বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মান ও কাজলা খলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় ও বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র ও রামভদ্রা মাদরাসা বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মান, সোলার প্যানেল বিতরণ, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ন স্থানে সোলার স্ট্রীট ল্ইাট স্থাপন, কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রাংশ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ,শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ,বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণ,ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন সহ আর্থিক অনুদান,চিকিৎসা অনুদানসহ ভুমিহীন ও গ্রহহীনদের মাঝে পাকা ঘর বিতরণ,কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান,যমুনার দূর্গম চরাঞ্চলে গর্ভবতী মা ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরী সেবা প্রদানে দুটি নৌ এম্বুলেন্স প্রদান,খাদ্য গুদাম নির্মান,ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান, মসজিদ,মাদরাসা,কবরস্থান,মন্দির, শশ্মান নির্মাণ ও সংস্কারে অনুদান বিতরণ,বঙ্গবন্ধু ম্যূরাল নির্মান,উপজেলা কোয়াটার ও অডিটরিয়ামের পার্শে শিশু পার্ক নির্মান,কৃষি অফিস ভবন নির্মান,জনস্বাস্থ্য অফিস ভবন নির্মান,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ভবন নির্মান,আমার বাড়ি আমার খামার অফিস ভবন নির্মান,ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন নির্মান,উপজেলা ভবন নির্মান, উপজেলা ডরমেটরি ভবন নির্মান, ঐতিহ্যবাসী কাঁসা শিল্প কারিগরদের মাঝে আধুনিক যন্ত্র প্রদান,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী দপ্তরে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র প্রদানসহ পিছিয়ে পরা ইসলামপুরকে আধুনিক শহরে রুপান্তরিত করেছেন।
এছাড়াও হামদর্দ কর্তৃক স্কুল এন্ড কলেজ, ঈমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্র, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, নার্স ইনটিটিউট, শেখ কামাল আইটি ইনিকউশেন সেন্টার, ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, মুজিব কেল্লা, বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র ও শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মানসহ আরো অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ চলমান রয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে স্মার্ট দেশ গড়বো আমরা।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সামনে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্মার্ট বাংলাদেশের হাতছানি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
0 $type={blogger}:
Post a Comment