মোহাম্মদ আলমাছ হোসেন আওয়ালঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৫ সদর আসন ও জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে জাতীয় পার্টির দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ফেসবুক লাইভে এসে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খানের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ১০২৬) করেছেন জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন।তিনি জামালপুর-৫ সদর আসন থেকে জাতীয় পার্টির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী।
অপরজন হলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি জামালপুর-২ আসন থেকে জাপার মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সাধারণ ডায়েরি (জিডি)-তে অভিযুক্তরা হলেন- জামালপুর সদর থানার লাঙ্গল জোড়া এলাকার চান মিয়ার ছেলে জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন খান, কাজী খোকন, আকরাম হোসেন ও আব্দুল মালেক।
জিডিতে বলা হয়, অভিযুক্তরা এই দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর ক্ষতি করার চেষ্টায় লিপ্ত। তারা গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জামালপুর সদর থেকে ফেসবুকে কাজী খোকন নামক একটি আইডি থেকে দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীকে মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে খুব বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছি। সামনে নির্বাচন, এখন এমন অবস্থা আমাদের জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
জিডি’র বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, রাত ৮টার দিকে জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন চার জনের নাম উল্লেখ করে হত্যার হুমকির বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আমরা বিষয়টির তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১১আগষ্ট) জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খান বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগে বের হন। নির্বাচনী গণসংযোগে তার গাড়ীতে থাকা জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী খোকন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ দেন। ১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে কাজী খোকনের কোন মন্তব্য না থাকলেও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খানকে বলতে শুনা যায়, একদিন দেরি করমু না, ওর জ্যাকের কাম বাজছে, কি কয় না কয়, মোস্তফার কাম বাজছে, মোস্তফারে সুইধ্যে খাইয়ে ফালাইমু। ওরে (আনোয়ার হোসেনকে) আগে খাইলে মোস্তফারে খাওয়া হবে। বহিস্কার করলে কি হবো।
0 $type={blogger}:
Post a Comment