জুয়েল রানা:
জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষীরচরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বনজ ও ফলের বাগান কেটে ফেলেছে দূবৃর্ত্তরা । রবিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভোক্তভোগী আছান আলী মেম্বার জানান, স্থানীয় ইউপি নির্বাচনের শক্রতার জের ধরে লক্ষীরচর গ্রামের মৃত ছবর উদ্দিনের ছেলে কবির মোস্তফার ছেলে লাইজু, হারুন অর রশিদের ছেলে সম্রাট আলী, ফজলুল হকের ছেলে শ্যামল, বজলুর রশিদের ছেলে জনি, আক্তার বিডিআরের ছেলে মামুন, লিয়াকতের ছেলে সেলিম,ছামাদের ছেলে আলী হোসেন, সুরুজের ছেলে শফিকের নেতৃত্বে গতরাতে আমার বাগানে হামলা করে পিয়ারা,লিচু,ভিয়েতনামী নারিকেল গাছ এবং একাশিয়া মেহগনিসহ শতাধিক অন্যান্য কাঠের গাছ কেটে ফেলেছে ।
আছান আলী আরও জানান, লক্ষীরচর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড লক্ষীরচর গ্রাম থেকে তিন বারের নির্বাচিত ইউপি মেম্বার । ইউপি নির্বাচনে তাকে হারাতে না পেরে তার ভাই বকুলের উপর হামলা করে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় এ বছরের মার্চ মাসে । বকুল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিনিয়ত আমাকে পরিকল্পিত ভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে এবং হুমকি দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চেয়ে মামলা চলমান রয়েছে । মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে । তারই অংশ হিসেবে আমার বাগানের গাছগুলো কেটে ফেলেছে। গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা বলেন ! আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
৩নং লক্ষীচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হারুন রশিদ জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে একটি গাছ কাটলে দুইটি গাছ রোপন করতে বলেছেন আর রাতের আধারে দুষ্টচক্র একটি বাগানের সবগুলো গাছ কেটে ফেলেছে তা খুবই দু:খজনক। আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় লক্ষীরচর বারুয়ামারী তদন্ত কেন্দ্রের আইসি সানোয়ার হোসেন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষ ন্যায় বিচার দাবী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভোক্তভোগী আছান আলী মেম্বার। প্রতিপক্ষ কবিরের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
0 $type={blogger}:
Post a Comment