মোহাম্মদ আলমাছ হোসেন আওয়ালঃ
গত ১১জুন ২০২৩ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সরকারি ইসলামপুর কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ বারান্দায় বসে অফিস করেছেন। তার কক্ষ তালাবদ্ধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চাবি নিয়ে পালিয়েছেন। এমন একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচারে করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সুনাম ক্ষুন্ন করায় তীব্র নিন্দা জানান অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, গতকাল (১১ জুন) বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সরকারি ইসলামপুর কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ বারান্দায় বসে অফিস করেছেন। তার কক্ষ তালাবদ্ধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চাবি নিয়ে পালিয়েছেন। এমন একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচারে আমি বিস্মিত।
জনাব প্রফেসর ড.ছদরুদ্দীন আহমদ গত ০৮ জুন ২০২৩ইং তারিখে কলেজে আসেন এবং জানান তিনি আদিষ্ট হয়ে অত্র কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে অনলাইনে ডিজি মহোদয়ের কাছে যোগদান করে এসেছেন এবং অন্য একটা কলেজের চার্জ হস্তান্তর সংক্রান্ত নমুনা কপি এনেছেন। সে রকম একটি পেপার এখানে তৈরি করে চার্জ হস্তান্তর করতে হবে। আমি তাকে জানিয়েছি যে ঠিক আছে আমি তো এখনো কোন অফিস আদেশ পায়নি হয়তো দুই এক দিনের মধ্যে পেয়ে যাব। তার পর বাকি ফরমালিটিজ সেড়ে নেয়া যাবে। আপনি কি চলে যাবেন না থাকবেন। এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান আপাতত পলবান্ধা গ্রামে তার ভাইয়ের বাড়িতে যাবেন। আমি তাকে দুপুরের খাবার খাওয়ায়ে একজন পিওনকে মোটরসাইকেল যোগে তার ভাইয়ের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, গত শনিবার (১০ জুন) মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সাথে কলেজের কিছু কাজের বিষয়ে কথা হলে তিনি আমাকে ঐ দিনই ঢাকায় যেতে বলেন এবং আমি ঢাকায় চলে যাই। তাছাড়া আমার চিকিৎসকের সাথে দেখা করারও প্রয়োজন ছিল। সে জন্য আমি আর দেরি করি নাই।
আমি বাহিরে থাকলে আমার কক্ষ তালাবদ্ধ থাকাটাই স্বাভাবিক। ভদ্রলোক ইসলামপুরে আছেন কি নাই এরপর আর আমার সাথে যোগাযোগ হয় নাই। এমতাবস্থায় তিনি কলেজে গিয়ে আমাকে ফোন না করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে যে ঘটনার অবতারণা করেছেন এবং সাংবাদিক ও সুধী মহলে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন সেটা খুবই দুঃখ জনক। আমি এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে অসম্মান করেছেন। আমার দীর্ঘ কর্মজীবনের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন। আপনারা বিষয়টি জানলেন, আপনাদের বিবেকের কাছে বিচারের ভার অর্পণ করলাম।
0 $type={blogger}:
Post a Comment