মৃত্যুই যেন তার একমাত্র মুক্তির পথ

জামালপুর দর্পণ ডেস্কঃ 

৬ বছর আগে অসুস্থ বাক্কারকে রাস্তায় ফেলে গেছে স্বজনরা!

নাম আবু বক্কর ওরফে বাক্কার (৫৫)। পিতা মরহুম বুছা মিয়া। বাড়ি ফুলছিন্নাহ, মেলান্দহ, জামালপুর। পেশায় একজন দিন মজুর। তারও ছিল ছোট্ট একটি সংসার। ১০ বছর আগে তিনি হঠাৎ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন। সেকারণে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় তার হাত গুলো পঙ্গু হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় উপার্যন।

কিছুদিন পর অসুস্থ স্বামীকে ফেলে অন্যত্র ঘর বাঁধে স্ত্রী। দুইটি ছেলে অচল বাবাকে ফেলে চলে যায় ঢাকায়। এই অবস্থায় ৪ বছর তাকে দেখা শোনা করে ছোট ভাই আঃ জলিল। তাকে খাবার তুলে খাওয়াতে হয়, ধরে ধরে প্রস্রাব পায়খানায় নিতে হয়। অনেক সময় ঘরেই প্রস্রাব পায়খানা করে ফেলে। সেগুলো তাকে পরিস্কার করতে হয়।

এমনি এক বিতৃষ্ণায় ৬ বছর আগে বাক্কারকে জামালপুর -দেওয়ানগঞ্জ সড়কের মেলান্দহ শিমুলতলি মোড়ে রাস্তার পাশে এক ছাপড়া ঘরে রেখে যায় ছোট ভাই । সেই থেকে তিনি রোদ বৃষ্টি ঝড়ে, শীতে গরমে এখানেই পরে আছেন। মাঝে মধ্যে ছোট ভাই খাবার দিয়ে যায়। মাঝে মধ্যে অন্যরা দেয়। আবার কখনও না খেয়েও থাকেন। তার কষ্টের শেষ নাই।

বর্তমানে তিনি চোখেও দেখে না। যেখানে থাকেন সেখানেই খান, সেখানেই প্রস্রাব পায়খানা করেন। কত বছর যাবত যে গোসল করেন না তা আল্লাহই জানেন। এখন দুর্গন্ধে তার কাছেই যাওয়া যায় না। এমন দিন যেন আল্লাহ কাউকে না দেন।

আফসোস এতদিন রাস্তার ধারে পড়ে থেকেও অভাগা বাক্কার কোনো মানবাধিকার সংস্থা বা অন্য কোনো সেবামূলক সংস্থার বা পাশেই মালঞ্চ বৃদ্ধাশ্রমের নজড়ে পড়েনি ! একমাত্র মৃত্যুই যেন তার মুক্তি!

Share on Google Plus

About মোঃ সাইদুর রহমান সাদী

নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন; মোবাইল : 01901450501 - সংবাদ/বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - iamsadi49@gmail.com

0 $type={blogger}:

Post a Comment