মেলান্দহে বিষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান কৃষকরা

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ

জামালপুরের মেলান্দহে বিষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নে ১০০ একর ফসলি জমিতে এবার বিষমুক্ত সবজি চাষ হয়েছে।

কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের আইপিএম প্রকল্পের আওতায় মডেল প্রকল্প হিসেবে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ হচ্ছে। কৃষি ক্ষেত্রে সবজি চাষে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার এবং নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। এতে ফসলের উৎপাদন ব্যয় বাড়ে। এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে মাটি, পানি, বায়ু দূষিত হয়। প্রকৃতি ও পরিবেশের উপকারী পোকামাকড়ও ধ্বংস হয়।

সেক্স ফেরোমেন, আঁঠালো ফাঁদ ও জৈব সার ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন করে দাম ভাল পাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে উৎপাদনও। এতে খুশি স্থানীয় সবজি চাষীরা।

শ্যামপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় চাষী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন ৬০ শতাংশ জমিতে বিষমুক্ত শসা ও করলা চাষ করেছি।সবজি চাষ করতে আমার ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ পর্ষন্ত সবজি বিক্রি করেছি প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজর টাকা।রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করার ফলে লাভের পরিমাণ বেশি হয়েছে।

নিরাপদ সবজি চাষী ইসরাফিল জানান, এই স্কোয়াশটা চাষ করেছি সম্পূর্ন বিষমুক্ত উপায়ে। এটা উৎপাদন করতে জৈব সার ব্যবহার করেছি। সেই সাথে কৃষি বিভাগের পরামর্শে পুরো জমি নেট দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। প্রতি মণ স্কোয়াশ বাজারে এক হাজার থেকে বারোশত টাকা দরে বিক্রি করেছি। বিষমুক্ত সবজির চাহিদা অনেক। নিরাপদ সবজি কিনতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছে।

মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন এক বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। এজন্য নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করেছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নে ১০০ একর জমি বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের আওতায় আনা হয়েছে। এতে তরমুজ, শসা, করলা, স্কোয়াশ, বাধাকপি, ধুন্দল, পুইশাক সহ বিভিন্ন বিষমুক্ত সবজি চাষ হয়েছে।

Share on Google Plus

About মোঃ সাইদুর রহমান সাদী

নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন; মোবাইল : 01901450501 - সংবাদ/বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - iamsadi49@gmail.com

0 $type={blogger}:

Post a Comment