জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর সদর উপজোলার মেস্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ী এলাকার মজনু মিয়া ওরফে মম’র পুত্র আনসার সদস্য উজ্জল মাহমুদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী তাহমিনা জান্নাতকে পিটিয়ে হ’ত্যা করার অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার সকালে মেস্টা ইউনিয়নের জালিয়ারপাড় আনন্দ বাজারে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য দেন নি’হতে’র পিতা মোঃ ইব্রাহীম খলিল, বোন জয়নব খাতুন, মাতা হালিমা খাতুন, ফুফাত ভাই, সাদ্দাম হোসেন ও রসুল মাহমুদ প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে অন্তসত্তা তাহমিনা জান্নাত হ’ত্যা’র আসামীদের বিচারের দাবি
জানান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে তাহমিনা জান্নাতকে তার স্বামী পরিবার মিলে তাকে মারপিট করে হ’ত্যা করে। এ ঘটনায় নি’হতে’র বাবা ইব্রাহীম খলিল বাদী হয়ে নি’হতে’র স্বামী উজ্জল মাহমুদসহ ১৩ জনকে আসামী করে ওই দিন জামালপুর সদর
থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শাশুড়িসহ চারজনকে আটক করেছে জামালপুর থানা পুলিশ।
নি’হ’ত পরিবার সূত্র জানায়, গত দুই মাস সতের দিন আগে মাদারগঞ্জ এলাকার জোড়খালী ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের কলেজ পড়ুয়া কন্যা তাহমিনা জান্নাতের সাত লক্ষ ষাট হাজার টাকার কাবিনে আনসার সদস্য উজ্জল মাহমুদের সঙ্গে বিবাহ হয়। তাহমিনার গর্ভে সন্তানও রয়েছে। ঘটনার দিন তাহমিনার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন চেষ্টা চালায়। এতে তাহমিনা তা অস্বীকার করলে তাকে প্রথমে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন
করে পরিবারের লোকজন ।
পরে তাহমিনা জান্নাতের অবস্থার গুরুত্বর দেখে স্বামী পরিবারের লোকজন ভোর সকালেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত ডাঃ তাহমিনা জান্নাতকে মৃ’ত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল গেট থেকেই নি’হতে’র শাশুড়ীসহ চারজনকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে ১৩ জনকে আসামী করে একটি হ’ত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এরই মধ্যে চারজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
0 $type={blogger}:
Post a Comment