কলকাতা প্রতিনিধি:
এস এল টি ,এস এস সি পরীক্ষার নতুন নোটিফিকেশনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করলেন ভুক্তভোগীরা । আজ ২১ মার্চ ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং সমাজ সেবী রাহুল ব্যানার্জি। ৩০ দিন পূর্ণ হল এই অবস্থান বিক্ষোভ একতা মঞ্চের। ২১ শে মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে মেঘ করে বৃষ্টি হলেও ধর্ণা মঞ্চে কেউ বসতে না পেলেও, তারা বিক্ষোভ দেখাতে ছাড়েনি।
একটাই দাবি লাখ লাখ টাকা খরচা করে পাস করে বসে আছে, সাতটি বছর তাদের অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। বয়স কারো ৩০ থেকে ৩৫ হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোন নোটিফিকেশন দিতে পারছে না। অথচ বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন পদ খালি রয়েছে, আর সেখানে যোগ্য প্রার্থীদের না নিয়ে পয়সার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে এবং সেগুলো ধরা পড়ছে একে একে।
তবুও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সহানুভূতি দেখাচ্ছেন না আমাদের মত ছেলেদের জন্য। বরং তিনি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে, যারা ধরা পড়ছে ,যাদের চাকরি চলে যাচ্ছে তাদের জন্য। তাই আমরা যতদিন না এই নোটিফিকেশনের দাবি না মিটবে অর্থাৎ রাজ্য সরকার যতদিন না পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন, আমরা এই ধরনা চালিয়ে যাব এবং বিক্ষোভ চালিয়ে যাব। সারা রাজ্যে বিভিন্ন দপ্তরে শুধু প্রতারণা আর বুড়ি বুড়ি মিথ্যে কথা দিয়ে আমাদের মত ছেলেদের জীবন নষ্ট করছে আর সেটা হতে দেব না।
একই সাথে চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সমাজসেবী রাহুল ব্যানার্জি বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি সংগঠন বিভিন্ন দাবি নিয়ে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে থেকে শহীদ মিনার, এমনকি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তারা আজও বসে আছেন। সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে , পরীক্ষার্থীরা এবং পাশ করা ছাত্র ছাত্রীরা । কিন্তু এই কথা মঞ্চের ছেলে মেয়েরা তো চাকরি চাচ্ছেন না, চাচ্ছেন পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। আর পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণের জন্য, তাহলে কেন এই পরীক্ষা বন্ধ রাখা হচ্ছে । তানোই বা নোটিফিকেশন দিচ্ছেন না, পরীক্ষা দিলেই যে চাকরি সবাই পাবে এ তো নয় ,তাদের দাবি পরীক্ষায় বসতে চায়।
এতে কোথায় আপত্তি কেনই বা হচ্ছে না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কেন এদের সেই জায়গাটাকে বন্ধ করে রেখেছে, এমনকি শিক্ষামন্ত্রী কেন নজর দিচ্ছেন না। আমি মনে করি এটা হওয়া উচিত, কারণ সব বাড়ির ছেলে মেয়েরাই একটা আশা নিয়ে পড়াশোনা করে ,এই ভাবে আটকে রাখাটা মনে হয় যুক্তিসঙ্গত নয়। অতি দ্রুতই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নজর দেওয়া উচিত, এই সকল ছেলে-মেয়েদের, যাতে তারা নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে পারে এবং তাদের চলার পথ সুগম হয়, কেনই বা পড়াশুনা করে এই জল ঝড় বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার মধ্যে বসে থাকবে , কেনই বা আন্দোলন করবে ছাত্র-ছাত্রীরা। ঘর দুয়ার ছেড়ে বাবা-মাকে ছেড়ে সারাদিন এখানে কেন আন্দোলন করবে, পরীক্ষা দেওয়াটা তাদের প্রাপ্য অধিকার।
0 $type={blogger}:
Post a Comment