জামালপুরে পুত্র হত্যায় দায়ে মৃত্যু'দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক পিতা আটক



মোঃ সুমন মিয়া, জামালপুরঃ


জামালপুরের বকশী'গঞ্জে প্রায় ১২ বছর আগে নিজের পাঁচ মাসের শিশুসন্তান'কে ঢেঁকির সঙ্গে আছাড় মেরে হ'ত্যা করার পর আত্ম'গোপনে থাকা পিতা'কে আটক করেছে র‍্যাব।


পাষণ্ড ওই পিতার নাম মো. মোস্তফা (৪০)। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাই'গাতি উপ'জেলার দুধনই গজারী'কুড়া গ্রামের আ. রহিমের ছেলে।


হত্যা'কাণ্ডের ঘটনায় নিহতে'র মা বাদী হয়ে মামলা করলে আটক'কৃত ওই পিতাকে মৃত্যু'দণ্ডাদেশ দেন আদালত। পরবর্তী'তে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে জামা'লপুর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গত ১ জানু'য়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানার নন্দিপাড়া ঘজী'বাড়ী এলাকা হতে তাকে আ'টক করা হয়।


সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে জামাল'পুর র‍্যাব কার্যা'লয়ে কোম্পানি কমাণ্ডার আশিক উজ্জামান এক সংবাদ সম্মেল'নে এ তথ্য জানান।


তিনি আরও জানান, ২০০৭ সালে গার্মে'ন্টসে চাকরির করার সুবাদে মো. মোস্তাফার সঙ্গে বকশীগঞ্জ উপজেলার টুপকার'চর গ্রামের মো. উজির আলীর মেয়ে মোছা. রুজিনা বেগমের পরিচয় ও প্রে'মের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর পর তাদের পারিবারি'কভাবে বিয়ে হয়। কিছুদিন দেশের বাড়িতে সংসার করার পর পুনরায় দুজ'নেই ঢাকায় গিয়ে আবার গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করেন। রুজিনা গর্ভ'বতী হলে তারা ফের দেশের বাড়িতে চলে আসেন। তাদের ঘরে আসিফ নামে একটি পুত্র'সন্তানের জন্ম হয়। রুজিনা তাঁর স্বামীর সঙ্গে পিত্রালয়ে বসবাস করতে থাকেন। স্বামী মোস্তফা জীবিকা নির্বাহের জন্য দিন মজুরি করে জী'বিকা নির্বাহ করছিলেন। রুজিনার পিতা নিতান্তই গরিব হওয়ার ফলে বসবাসের জায়গা না থাকায় একই গ্রামের জনৈক মৃ'ত সোহ'রাব মেম্বারের ছেলে গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে একটি পরি'ত্যক্ত রান্না'ঘরে সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন।


একপর্যায়ে গত ২০ মে ২০১১ তারিখ শুক্রবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁদের পারি'বারিক কলহের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। কলহের এক'পর্যায়ে মোস্তফা রুজিনার ওপর নির্মম শারি'রীক নির্যাতন চালান। নির্যাতনে নিস্তেজ হয়ে পড়েন রুজিনা। এতেও আক্রোশ না কমলে মোস্তফা তার পাঁচ মাস বয়সী শিশুসন্তান মো. আসিফকে দুই পা ধরে ঘরে থাকা ঢেঁকির সঙ্গে সজোরে পরপর তিনবার আছাড় দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃ'ত্যু হয় শিশুটির। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ওই পাষণ্ড পিতাকে আ'টকের পর পুলিশে সোপর্দ করে আশেপাশের লোকজন। পর'বর্তীতে বিজ্ঞ আদাল'তের মাধ্যমে জামিন পেলে আত্ম'গোপনে চলে যান মোস্তফা। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন নাম পরিচয়ে (কুদ্দুস, রজব আলী, ইয়াসিন আলী ও সজিব ইত্যাদি) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অটোচালক হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। এরমধ্যেই চলমান মামলায় ২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মোস্তফা'কে মৃত্যু'দণ্ডাদেশ দেন আদালত।


আটক'কৃত ওই পাষণ্ড পিতা'কে ঝিনাই'গাতি থানায় হস্তা'ন্তর করা হয়েছে।

Share on Google Plus

About সাদ্দাম হোসেন

0 $type={blogger}:

Post a Comment