জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুর সদর উপজেলার ১৫নং রশিদপুর ইউনিয়নের কয়রার পাড় গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুর, পিটিয়ে আহত করে অপহরনের অভিযোগ উঠছে প্রতিপক্ষের লোক জনের বিরুদ্ধে আর এ ঘটনায় নারায়নপুর তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছে ভোক্ত ভোগীর পরিবার।
গত শনিবার রাতে ভোক্তভোগী খোরশেদা বেগমের বাড়ীর সামনে খোরশেদা বেগম জানান, তার বাবা মৃত আব্দুল খালেক খোকা চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে মারা যান । মৃত্যুর পর থেকেই চাচা আব্দুল মালেক (৪৫) এবং চাচাতো ভাই মামুন মিয়া (২০) মিলে খোরশেদা বেগমের পৈত্তিক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে মৃত আব্দুল খালেক খোকার স্ত্রী সাজেদা বেওয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে তারা।
বিগত ৬মাস ধরে সাজেদা বেওয়া মেয়ের জামাই বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। খোরশেদা বেগম আরো জানান, মা সাজেদা বেওয়া নিয়ে গত কয়েক দিন যাবৎ স্বামী সন্তান নিয়ে বাড়ীতে বেড়াতে এসেছেন। শনিবার রাতে আমার স্বামী মো: কাউসার উদ্দিন ছেলের সদাই কেনার জন্য দোকানের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলে চাচা আব্দুল মালেক ও চাচা ভাই মামুন মিয়া পিটিয়ে আহত করে অপহরন করার চেষ্টা করে।
কাউসার উদ্দিন জানান, আমার চাচা শুশুর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাকে পিটিয়ে আহত করে হাত ও মুখ জোর পূর্বক বেধে অপহরনের চেষ্টা করেন । প্রাণ বাচানোর ভয়ে অনেক কষ্টে পালিয়ে জামালের দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেও গিয়ে আক্রমন করে তারা। ভোক্তভোগী খোরশেদার ছোট বোন খালেদা বেগম জানান, বাবা বেচে থাকা অবস্থায় ছোট চাচা ও চাচাতো ভাইকে আমাদের অংশ থেকে ৩০শতাংশ জমি লিখে দিয়ে ছিল। আমরা চার বোন, কোন সহোদর ভাই না থাকাতে তারা সকল সম্পত্তি জোর দখলের চেষ্টা করছে প্রতিনিয়িত।
এ অবস্থায় আমার বৃদ্ধ মা সাজেদা বেওয়া অসহায় হয়ে পড়েছে। তাকে নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে তারা ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, শনিবার রাতে আব্দুল মালেক , মামুন মিয়া,শাহজাহান, এনামুল হক সহ ১০/১৫জনের একটি চক্র খোকার মেয়ের জামাইয়ের উপর হামলা করে তাকে আহত করেছে। জীবন বাচাতে জামাই কাউসার জামারের দোকানে আশ্রয় নিয়ে ছিল । দুপুরে ঘটনা স্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল মালেক নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন তিনি এই ঘটনার সাথে কোন ভাবেই জড়িত না।
নারায়নপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 $type={blogger}:
Post a Comment