ইসলামপু'রে যুগল পর'কিয়া স্ত্রীদের হাতে স্বামী হত্যা, ঘটনা তদন্তে ৯ মাস পর কবর থেকে লা'শ উত্তোলন



মোহাম্মদ আলমাছ হোসেন আওয়াল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ


জামালপুরে'র ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনি'য়নে যুগল পর'কিয়া স্ত্রীদের হাতে নি'হত একটি হত্যা মামলার অভি'যোগে ময়না তদন্তের জন্য ৯ মাস পর কবর থেকে লা'শ উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত'কর্মকর্তা সিআ'ইডি ইন্সপেক্টর দেওয়ান মোহাম্মদ এনায়েত কবীর জানি'য়েছেন, উত্তোলন করা লা'শের ময়না'তদন্ত ও রিপোর্ট পেলে মামলার অগ্রগতি বুঝা যাবে।

জানা যায়, জামালপুরে'র ইসলামপুর উপ'জেলার সদর ইউনিয়নের পাতিলদহ পঁচাবহলা দক্ষিনপাড়া গ্রামের পাইলিং ব্যবসায়ী আইয়ূব আলী বিয়ে করে'ছিলেন তিনটি। নিজের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী নাজমা আর ঢাকায় থাকতো দুই স্ত্রী রোজিনা ও পাখি।

হত্যা মামলার বাদী নি'হতের সহোদর ভাই শাহালীর অভিযোগ, তার ভাই আইয়ূব আলীর ২য় স্ত্রী রোজিনা (৩৫) ও ৩য় স্ত্রী পাখি বেগম (৩৫) এর সাথে ইসলামপুর পঁচাবহলা গ্রামের মজিদ ফকিরের ছেলে মিষ্টার (৩৫) এর সহিত অবৈধ মেলা'মেশা চলে আসছিল। অবৈধ মেলা'মেশার অসামা'জিক কার্যকলাপ এক পর্যায়ে আই'য়ূব আলী দেখে ফেলে তাদের সর্তক'মূলক শাসন করেন। এর পর হতেই মিস্টার, তার স্ত্রীর রোজিনা ও তার ভাই বাবলু (৪৫) ও জোগল পরকিয়ায় জড়িত আরেক স্ত্রী পাখি তাকে প্রাণে মেরে ফেরার সুযোগ খুজঁছিল। এরই এক পর্যায়ে তারা পরিকল্পি'তভাবে ঘটনার দিন ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে আইয়ূব আলীকে ডেকে নিয়ে গেলে রাতে আর বাড়ী ফেরেনি আইয়ূব আলী। রাতে তার স্ত্রী রোজিনা ঢাকা থেকে ফোনে ফোনে জানায় আইয়ূব আলীর স্টোক করে স্বাভাবিক'ভাবেই মারা গেছেন। পরে তারা নিজেই ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে এসে নিজ বাড়ি ইসলামপুরে মাটি তড়িঘড়ি করে দিয়ে তারা চলে যায়। এ সময় তাদের চোখে মুখে কোন শোকের ছায়া লক্ষা করা যায়নি।

এর কয়েকদিন পরেই শুনজন উঠে আইয়ূব আলীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছিল। কি কারণে নিহতের ভাই শাহালী মামলার আসা'মীদের নিকট ভাই মারা গেছে কিভাবে জানতে চাইলে তারা তাকেও প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং বলে লা'শ পঁচে গেছে এখন মামলা করে কোন লাভ হবে না।

পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই শাহালী বাদী হয়ে গত ১ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে আদালতে একটি হ'ত্যা মাম'লার অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত চলমান অবস্থায় ইতোমধ্যে নিহতের স্ত্রী ১নং আসামী রাজিনা (৩৫) ও তার ভাই ৪ নং আসামী বাবলু (৪৫) পুলি'শের হাতে আটক হয়ে জেলহা'জতে রয়েছে।

এলাকা'বাসী জানায়, অপর ৩নং আসামী মিস্টার নিহত আইয়ূব আলীর আরেক স্ত্রী পরকিয়া প্রেমিকা পাখিকে নিয়ে পলাতক রয়েছে। বর্তমানে মামলা সিআই'ডিতে থাকায় তদন্তাধীন রয়েছে। হত্যা মামলার আলামত সংগ্রহের জন্য সিআইডি দীর্ঘ ৯ মাস পর ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে আইয়ূব আলীর লা'শ উত্তোলন করে শরীরের বিভিন্ন অংশের ১১৮টি হাড়ের টুকরা পান তদন্ত কর্ম'কর্তা। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হাসান রুমান, জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের ডা.নাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যে'র সৃষ্টি হয়েছে। নিহ'তের প্রথম স্ত্রী নাজমা'সহ পরিবারের লোকজন ও এলাকা'বাসী ঘটনার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত'মূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্ম'কর্তা জামালপুরের সিআইডি ইন্সপেক্টর দেওয়ান মোহাম্মদ এনায়েত কবীর জানিয়েছেন, হত্যা মামলার ঘটনা সঠিত তদন্তনের স্বার্থে নি'হত আইয়ূব আলীর লাশ ৯ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো। লাশের ময়নাতদন্ত ও রিপোর্ট পেলে মামলার অগ্রগতি বুঝা যাবে।


মোহাম্মদ আলমাছ হোসেন আওয়াল

ইসলামপুর, জামালপুর।

২৯.০৯.২০২২

Share on Google Plus

About সাদ্দাম হোসেন

0 $type={blogger}:

Post a Comment